প্রচলিত পদ্ধতিতে উৎপাদনকারীর নিকট থেকে ভোগকারীর নিকট উৎপাদিত দ্রব্য আসতে বিভিন্ন হাত ঘুরে আসে। স্থানীয় ফড়িয়া বা পাইকারগণ সরাসরি খামার থেকে জীবন্ত ব্রয়লার ক্রয় করে বাজারে খুচরা বিক্রি করে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ফড়িয়া বা পাইকারগণ নিজেরাই দাম নির্ধারণ করে। বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতার মুরগির সাথে প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র রাখে। ক্রেতা মুরগি কিনে জবেহ্ করার পর যন্ত্রের সাহায্যে ইচ্ছামত প্রক্রিয়াজাত করে আনতে পারে। এতে প্রক্রিয়াজাত বিষয়ে ক্রেতার মনে কোনো সন্দেহ থাকে না এবং বিক্রেতার বাড়তি কিছু লাভ হয় । বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী এখানে কাজ করে বিধায় উৎপাদনকারী তাদের ন্যায্য মূল্য পায় না। অপরদিকে ভোক্তাগণ অধিক মূল্যে দ্রব্যটি ক্রয় করে থাকেন। বাজারের পরিবেশে মুরগি বিক্রয়ের সাথে জবেহ্ ও প্রক্রিয়াজাত করার ফলে বিভিন্ন রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হয়। বিক্রেতাগণের একই হাতে জীবন্ত মুরগি ধরা, জবেহ্ ও নোংরা হাতে মাংস প্রক্রিয়াজাত করা কখনই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাছাড়া মুরগির পায়খানা ও উপজাত পরিবেশকে আরও নোংড়া করে। এছাড়া প্রক্রিয়াকরণ উপজাতের সঠিক ব্যবহার হয় না।
বড় বাণিজ্যিক খামার সমবায় সমিতিদের অনুরূপ ছোট খামারগুলো সমবায় ভিত্তিতে প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপন করতে পারবে অথবা ছোট খামারগুলোতে উৎপাদিত জীবন্ত ব্রয়লার নির্দিষ্ট মূল্যে প্রক্রিয়াজাত কারখানায় সরবরাহ করতে পারবে। এ বিষয়গুলোকে নিশ্চিতকরণে সমবায় সমিতির ধ্যান ধারণার আলোকে আমাদের সমগ্র বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাকে নিম্নলিখিতভাবে ঢেলে সাজাতে হবে-
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ:
ব্রয়লার পরিবহন (Broiler Transportation):
আড়তদার বা পাইকারি বিক্রেতা থেকে খুচরা বিক্রেতা বা হকার বা সুপার মার্কেটে নিম্নলিখিতভাবে জীবন্ত ব্রয়লার পরিবহণ করা হয়-
প্রক্রিয়াজাত প্লান্ট থেকে সুপার মার্কেটে নিম্নলিখিত ভাবে প্রক্রিয়াজাতকৃত ব্রয়লার পরিবহন করা হয়-
আরও দেখুন...